প্রকাশিত: ১৪/১০/২০১৬ ৭:৪৩ এএম

ukhiya-picসরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
লাগামহীন চালের বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া সরকারি বিনামূল্যের ভিজিডির চাল নিয়ে চলছে উখিয়া উপজেলায় তেলেসমাতি কাজ কারবার। গত সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন উপজেলা মরিচ্যা বাজারে ৩টি চালের আড়তে অভিযান চালিয়ে ৭৮ বস্তা চাল উদ্ধারের পর উখিয়ায় ভিজিডির চাল নিয়ে নয়ছয় করার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। সুত্রেজানা গেছে,উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত হতদরিদ্র গরীর জনগোষ্টির মাঝে প্রতিমাসে পরিবার পিছু ৩০ কেজি করে সরকারি বিনামূল্যে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য জানিয়েছেন,হতদরিদ্রদের তালিকা চূড়ান্ত করার প্রাক্কালে ওই তালিকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের আত্মীয় স্বজন ছাড়াও টাকার বিনিময়ে অনেক স্বচ্ছল লোকজনকে ভিজিডির কার্ড দেওয়া হয়েছে। ভিজিডির আওতাভুক্ত উপকারভোগীদের তালিকা নিরপেক্ষ সরকারি কর্মকর্তা দিয়ে যাচাই বাছাই করা হলে অনেক স্বচ্ছল পরিবারের নাম বেরিয়ে আসবে বলে ঐ মেম্বাররা দাবী করেন।সম্পূর্ণ অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে তৈরি করা তালিকা মোতাবেক চাউল বিতরণ করা হলেও অধিকাংশ গরীব ছিন্নমূল পরিবার ভিজিডির চাল সুবিধা প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যে কারণে ভিজিডির চাল কালো বাজারে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে চালের বাজার অস্থির হওয়ায় সরকারি প্রদত্ত চাল নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির আশংকা করছেন সচেতন মহল। বিশেষ করে হলদিয়াপালং জালিয়া পালং ও রতœাপালং ইউনিয়নে কোন নিময়নীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছেনা।চেয়ারম্যান মেম্বাররা আত্বীয়স্বজনের দিয়ে যে যেভাবে পারছে ভিজিডির চাল নিয়ে খোলা বাজারে বিত্রিু করে দিচ্ছে।আবার কেউ কেউ খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার সাথে ষোগসাজসের মাধ্য বিভিন্ন প্রভাবশালীদের মাধ্যমে খোলা বাজারে ভিজিডির চাল বিত্রিু করছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, স্থানীয় গোয়েন্দার তথ্যের ভিত্তিতে মরিচ্যা বাজার মরিয়ম ট্রের্ডাস, পেঠান আলী সওদাগর ও ফারুক সওদাগরের চাউলের আড়তে তল্লসী চালিয়ে ৭৮ বস্তা ভিজিডির চাল উদ্ধার করে ৩ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৪৯ হাজার টাকা জরিমান আদায় করা হয়। উদ্ধারকৃত চালগুলো হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুনীল দত্ত জানান, ভিজিডি’র চাল স্থানীয় চেয়ারম্যান অথবা তার প্রতিনিধিরা খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ নিয়ে তালিকা অনুযায়ী বিলি বন্টন করে থাকেন। এখানে খাদ্যগুদাম কতৃপক্ষের কোন গাফিলতি নেই।

পাঠকের মতামত

পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার-কুয়াকাটা পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশ

আসন্ন পর্যটন মৌসুমে দেশের প্রধান পর্যটন এলাকা কুয়াকাটা ও কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার ...

কক্সবাজারসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রায় নামছে এনসিপি, হামলার শঙ্কা

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রা নামছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামীকাল শনিবার (১৯ জুলাই) কক্সবাজারে পদযাত্রার ...